এবিএনএ : নতুন কমিটি পেল ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগ। ঢাকাকে দুই ভাগ করে রোববার নগরের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
এছাড়াও নগরীর প্রতিটি থানা এবং ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়।
দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার ধানমণ্ডির রাজনৈতিক কার্যালয়ে সকাল ১১টায় সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে এ কমিটি ঘোষণা করেছেন দলের সাধারণ সম্পাদক ও জনপ্রশাসনমন্ত্রী সৈয়দ আশরাফুল ইসলাম।
ঘোষিত নগর কমিটির নেতারা হলেন- ঢাকা উত্তরে দলের কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য এ কে এম রহমতুল্লাহকে সভাপতি, মোহাম্মদপুর থানা আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি সাদেক খানকে সাধারণ সম্পাদক এবং ঢাকা দক্ষিণে বর্তমান লালবাগ থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি আবুল হাসনাতকে সভাপতি ও নগরের সাংগঠনিক সম্পাদক শাহে আলম মুরাদকে সাধারণ সম্পাদক ঘোষণা করা হয়েছে।
এর মাধ্যমে প্রায় ১৩ বছর পর শাসক দল আওয়ামী লীগের গুরুত্বপূর্ণ এ শাখাটির দুই ভাগে নতুন নেতা পেল।
এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের প্রতিটি থানা ও ওয়ার্ডের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নাম ঘোষণা করা হয়েছে।
প্রসঙ্গত, প্রায় সাড়ে নয় বছর পর ২০১২ সালের ২৭ ডিসেম্বর সংগঠনটির সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু এর পরে পূর্ণাঙ্গ কমিটি ছাড়াই পার হয়েছে এক মেয়াদেরও বেশি সময়।
এর আগে ২০০৩ সালের ১৮ জুনের সম্মেলনে ঢাকার সাবেক মেয়র প্রয়াত মোহাম্মদ হানিফকে সভাপতি ও মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়াকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়।
মোহাম্মদ হানিফের মৃত্যুর পর ওমর আলী ভারপ্রাপ্ত সভাপতির দায়িত্ব পেলেও ১/১১’র প্রেক্ষাপটে এমএ আজিজ ভারপাপ্ত সভাপতি দায়িত্ব পান। গত ২৩ জানুয়ারি এমএ আজিজের মৃত্যুর পরে সভাপতি পদটি শূন্য হয়ে যায়।
২০০৮ সালে আওয়ামী লীগ সরকার গঠনের পরপরই সংগঠনকে গতিশীল করতে ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগকে দুই ভাগে বিভক্ত করার উদ্যোগ নেয়।
ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনের পরে উত্তরে কর্নেল (অব.) ফারুক খান এবং দক্ষিণে ড. আব্দুর রাজ্জাককে দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল নগরের কমিটি সমন্বয় করতে।
দলের কেন্দ্রীয় কমিটির এই দুই সম্পাদকমণ্ডলীর সদস্য ঢাকা সিটি করপোরেশন নির্বাচনে দল সমর্থিত দুই প্রাথীর নির্বাচনী সমন্বয়ক হিসেবে কাজ করেছিলেন। দায়িত্ব নিয়ে তারা দুই ভাগে নগরের উত্তর ও দক্ষিণের কমিটি এবং নগরের থানা, ওয়ার্ড ও ইউনিয়ন কমিটির খসড়া তালিকা প্রধানমন্ত্রীর কাছে জমা দেন গত সেপ্টেম্বরে।